সাংহাই মাস্টার্সের ফাইনালে উঠেছেন দুই প্রজন্মের দুই তারকা, ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ ও বিশ্ব টেনিসের নতুনের কেতন ওড়ানো ইতালির ইয়ানিক সিনার।
ইউএস ওপেনে অব্যাহত রয়েছে তারকা পতন। কার্লোস আলকারাস ও নোভাক জোকোভিচের পর এবার হার্ড কোর্টের এই গ্র্যান্ড স্লাম থেকে বিদায় নিলেন মেয়েদের বিভাগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কোকো গফ। চতুর্থ রাউন্ডে তৃতীয় বাছাই আমেরিকান এই তারকাকে বিদায় করেছেন গফেরই স্বদেশি এমা নাভারো। পুরুষ বিভাগ থেকেও বিদায় নিয়েছেন আন্দ্রেই
রেকর্ড গড়ার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসার গল্প নোভাক জোকোভিচের জন্য নতুন কিছু নয়। উইম্বলডনে স্বপ্নভঙের পর এবার ইউএস ওপেনও শেষ জোকোভিচ। ইউএস ওপেন থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ার দায় স্বীকার করেছেন জোকোভিচ।
প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর নোভাক জোকোভিচ প্রথম কোর্টে নেমেছিলেন গত পরশু ইউএস ওপেনে। জয়ে দিয়েই সার্বিয়ান তারকা শুরু করেছেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম। মলদোভার রাদু অ্যালবটকে হারিয়ে দিয়েছেন ৬-২,৬-২, ৬-৪ গেমে। তবে হার্ড কোর্টের এই ম্যাচে দেখা যায়নি চিরচেনা উচ্ছ্বসিত জোকোভিচকে।
টেনিস কোর্টে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন নোভাক জোকোভিচ। ছেলে ও মেয়েদের টুর্নামেন্ট মিলে সর্বোচ্চ ২৫ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যে এবারের ইউএস ওপেন শুরু করেছেন দুর্দান্তভাবে। তবু তিনি মনে করছেন, অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়টা অত সহজ ছিল না।
অনেক বিতর্ক-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিক। খেলা চলার মাঝেও কম বিতর্ক হয়নি। তবে ১০০ বছর পর নিজেদের দেশে অলিম্পিক আয়োজন সফলভাবেই শেষ করেছে ফ্রান্স। পরশু দেশটির জাতীয় স্টেডিয়াম স্তাদে দে ফ্রান্সে সমাপনী দিনও ছিল ঝলমলে আর তারায় ভরপুর। ১৭ দিনের প্যারিস অলিম্পিকে এবার যেসব তারকা ও ইভেন্
জয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই রোলাঁ গারোর মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন নোভাক জোকোভিচ। এরপর অশ্রুভেজা চোখে এগিয়ে গ্যালারিতে থাকা ছোট মেয়ে তারা জোকোভিচের গালে চুমু দিলেন। মেয়ে এসেছিলেন গলায় অলিম্পিকের সোনার পদক পরে। বাবা তার ইচ্ছে অপূর্ণ রাখলেন না। জিতলেন সোনা। বাবার কাছে মেয়ের ইচ্ছে পূরণের চেয়ে স্বর্গীয় আর ক
একজন ক্যারিয়ারের শুরুতে, আরেকজন শেষলগ্নে। অসাধারণ খেলে ফাইনাল দুই প্রজন্মের দুই টেনিস তারকার দেখা হবে, আপাতত এটাই যেন টেনিস কোর্টের নিয়তি। গত মাসেই উইম্বলডনের ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্প্যানিশ তারকা আলকারাস গারফিয়া।
রোলাঁ গারোঁর লাল দুর্গে নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদালের ম্যাচে অনেকেরই চোখ ছিল। লাল দুর্গের রাজা নাদাল পিছিয়ে পড়ে ঘুরেও দাঁড়িয়েছিলেন। তবে দুই তারকার লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন জোকোভিচ। বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে নাদালের।
টেনিসের ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি নোভাক জোকোভিচ। রজার ফেদেরার অবসরে, অবসর না নিয়েও কোর্টের বাইরে রাফায়েল নাদাল। এই দুজনের সঙ্গে জোকোভিচ মিলে বিশ্ব টেনিসে যে ‘বড় তিনে’র বলয়; তার আধিপত্য এখনো বহমান।
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—একই প্রতিপক্ষ যখন আবার মুখোমুখি হয়, তখন বহুল প্রচলিত কথারও পুনরাবৃত্তি হয়। উইম্বলডনের ফাইনালে আবারও মুখোমুখি হচ্ছেন কার্লোস আলকারাস ও নোভাক জোকোভিচ। প্রতিশোধ তো বটেই, জোকোভিচের সামনে এখন ইতিহাস গড়ার হাতছানি।
ফ্রেঞ্চ ওপেনে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে স্নায়ুর পরীক্ষা দিয়ে জিতেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। তৃতীয় রাউন্ডে লরেঞ্জো মুসেত্তির বিপক্ষে ৪ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের ম্যাচ জয়ের পর গত কাল চতুর্থ রাউন্ডেও দিতে হয়েছে ম্যারাথন দৌড়। ৪ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের ম্যারাথন লড়াইয়ে অবশ্য মহাকাব্যিক জয় পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক।
সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ে টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছেন নোভাক জোকোভিচ। এবার সার্বিয়ান টেনিস তারকা ফেডকে ছুঁয়ে ফেললেন সর্বোচ্চ লরিয়াস অ্যাওয়ার্ডস জয়েও।
এ সপ্তাহে শুরু মাদ্রিদ ওপেনে খেলবেন না রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জোকোভিচ। গতকাল হওয়া ড্রয়ে ছিল না তাঁর নাম। ৩৬ বছর বয়সী সার্বিয়ান নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মাদ্রিদ ওপেন থেকে।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউরকে হারিয়ে মন্টে কার্লো মাস্টার্সের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন নোভাক জোকোভিচ। এটিপি ১০০০ ইভেন্টে এটি ৩৬ বছর বয়সী সার্বিয়ানের সর্বোচ্চ ৭৭তম সেমিফাইনাল। এ কীর্তিতে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন রাফায়েল নাদালকে।
লরেঞ্জো মুসেত্তির ওপর প্রতিশোধ নিয়েই নিলেন নোভাক জোকোভিচ। হারিয়ে দিলেন সরাসরি সেটে। গত বছর মুসেত্তির কাছে মন্টে কার্লো মাস্টার্সের শেষ ষোলোয় হেরেছিলেন জোকোভিচ। এবার দেখা হতেই আর কোনো সুযোগ দিলেন না এই ইতালিয়ানকে।
কিছুদিন আগেই কথাটা বলেছিলেন রাফায়েল নাদাল—পরিসংখ্যানই জোকোভিচকে ইতিহাসের সেরা বলছে; সার্বিয়ান তারকাকে সেরা মানতে তাই আপত্তি নেই তাঁর।